exponentials.tv

exponentials.tv

exponentials.tv - a web 3 media outlet focusing on todays exponential success stories and the metaverse.

read less
Society & CultureSociety & Culture
Dr. Voice
Jul 23 2021
Dr. Voice
Finding Your Voice, Building Your Sound Track with Dr. Voice Why is finding our true voice so important? You might think that you know what you sound like, but be careful. So much of what we say, and more importantly how we say it, is based on other people. From the very beginning we take our voice from our parents, the way they say things, their mannerisms and diction. We take that for our own and create a character which becomes our identity. Then, as we move through life, the focus shifts. Instead of copying what we hear, we become obsessed with what other people think of us. Whether we are speaking at a public event, leading a meeting or just meeting someone for the first time, we are constantly self-correcting, adjusting, trying to adapt to what we hope other people's expectations of us are. We lose our true voice among all of the background noise in our mind. How does that impact our personality? If we cannot trust ourselves to be ourselves, always responding to other people's perception, it can lead us to deep insecurity. That's why reconnecting with your true voice is such a powerful tool in energizing your personality and driving towards success. It's genuine, it's truthful, it's sincere. It's a vibrational wave of positive energy, and people can pick up on that. Think of the world's great orators and public speakers. When they're on stage they seem totally in their element, passionate and empowered. They know who they are and where they're going. And you can too.  Start small, and exponent yourself. -- Connect with Dr. Voice: Instagram: https://www.instagram.com/therealdrvoice/ Facebook: https://www.facebook.com/therealdrvoice/ Website: https://www.drvoice.tv
অষ্টগ্রাম হাউলিবাড়ি
Oct 18 2021
অষ্টগ্রাম হাউলিবাড়ি
কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত অষ্টগ্রাম উপজেলায় অষ্টগ্রাম দেওয়ানবাড়ি অবস্থিত। কুলিয়ারচর অথবা ভৈরব হতে নৌপথে অষ্টগ্রাম দেওয়ানবাড়িতে যাওয়া যায়। নবাব ঈশা। খার পৌত্র মনােয়ার খাঁর অধস্তন ১১ পরুষ দেওয়ান গােলাম হায়দার অষ্টগ্রামে বাস করতেন। সে থেকেই এ দেওয়ানবাড়ি প্রতিষ্ঠা লাভ করে । গােলাম হায়দারের পৌত্র আলী হায়দার নশা মিয়ার বংশধরগণই বর্তমান ঘাগরায় বাস করছেন। সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরউদ্দিন (রহ.) বংশীয় সৈয়দ আবদুল করিম (রহ.)। (আলাইমিয়া) সাহেব বিবাহ করে সুলতানশী হতে অষ্টগ্রাম গিয়ে বসবাস শুরু করেন। আলাই মিয়া সাহেবের মাজার অষ্টগ্রাম দেওয়ানবাড়িতে রয়েছে। পরবর্তীতে কালে তার অধস্তন পুরুষ ভাগলপুর চলে আসলে সেখানকার সম্পত্তি তার অপর ভ্রাতাৈিসয়দ আবদুল ব হেকিম ও আঃ কবীরের নামে রেকর্ড করে দেন এবং তথায় অদ্যাবদি তাঁরা আছেন। এ ‘ বাড়িকে বর্তমানে হাউলিবাড়ি বলা হয়ে থাকে । সুফি সাধক হযরত সৈয়দ আবদুর করিম (রহ.) প্রকাশ্যে আলাই মিয়া সাহেব তরফের সুপ্রাচীন সুলতানশীরে পুরাতন জমিদারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাতেই সুলতানশী অবস্থিত। কিন্তু আলাই মিয়া সাহেবের কর্মময় জীবন জড়িত অষ্টগ্রাম হাউলিবাড়িতে। | সিলেট ও ময়মনসিংহ জলমগ্ন হাওড় এলাকায় স্মৃতি বহন করে যে কয়জন খ্যাতনামা জমিদার ছিলেন সেগুলাে বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় বিরাজমান। কিঞ্চিৎ শুষ্ক মৃগনাভী সদৃশ আজো বসন্ত সমীরণে তার সৌরভ বহন করে পরাভিত কণ্ঠে সুমধুর তান, পাপিয়া কাকলি, শ্যামা দোয়েলের মন মাতানাে ঝংকার, পিয়ানুর সুরের ন্যায় আজও মানুষকে সেই পুরাতন স্মৃতির আকর্ষণে আকৃষ্ট করতে পারছে। | অষ্টগ্রাম দেওয়ান বংশের আদি পুরুষ দেওয়ান মনােয়ার খা প্রকাশ আজদর খা দিল্লিতে সেনাবিভাগে ছিলেন। তিনি শাহী বংশের লােক ছিলেন। দিল্লিতে বাদশা তার পূর্ণ পরিচয় পেয়ে ও তার গুণে মুগ্ধ হয়ে ৭০নং জমিদারি জোয়ান শাহী পরগণা তামার পাতে লিখে দেন। তিনি সাতজনসহ এ পরগণার জংলাবৃত এক স্থানে উপস্থিত হলেন। স্থানটি কিশােরগঞ্জ জেলার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত । তাঁরা আটজনে পরামর্শ করলেন এ স্থানেই আমরা বসবাস করবাে। আটজনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানটি বসবাসের যােগ্য বিবেচিত। হলাে। তারা আটজন চিন্তা করে এ স্থানের নামকরণ করেন অষ্টগ্রাম বা আটগাঁও। তারা যে স্থানটি নির্দিষ্ট করে বসবাস করতে ছিলেন, সে স্থানটিই অষ্টগ্রাম হাউলিবাড়ি বা নয় কোশা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। আজও ভগ্ন প্রাসাদ ইটের স্তুপ, পাকা ঘাটলা। চারদিক দেওয়াল বেষ্টিত দেয়ালের চিহ্ন দেওয়ানবাড়ির ঐতিহ্যের পরিচয় দিচ্ছে। এছাড়াও বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিমে বিরাট দুটি দিঘি অনুমান ১৪/১৫ একর আজও জমিদার বংশের স্মৃতি বহন করছে। উক্ত জমিদার বংশের মেয়ে জমিদার চান্দ বিবি সাহেবা। তাঁর স্বামী ছিলেন দেওয়ান নূর হায়দর সাহেব। তার একমাত্র কন্যা জিন্নচান্দ বিবিকে হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সুবিখ্যাত সুলতানশী হাবেলির সৈয়দ শাহ ছাবের সাহেবের নিকট বিবাহ দেন। তিনি ছিলেন। ইমাম হুসাইন (রহ.)-এর আওলাদ এবং হযরত শাহ জালার সাহেবের বিশিষ্ট সঙ্গী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ.)-এর বংশধর। তার ঔরসে তিন পুত্র-সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব, সৈয়দ মলাই মিয়া সাহেব ও সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব জন্ম নেয় । চান্দ বিবি সাহেবের একমাত্র ছেলে সন্তান ছিল দেওয়ান করম রেজা। তিনি কিশাের বয়সেই পরলােকগমন করেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন, তার মৃত্যুর পর চাঁদ বিবি সাহেবা সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবকে জমিদারি প্রদান করেন। তিনি জমিদারি প্রাপ্ত হয়ে জমিদারি পরিচালনা করতে থাকেন। তার ছােট ভাই জলাই মিয়া সাহেবও তার সঙ্গে ছিলেন। দেওয়া নূর হায়দর সাহেবের দ্বিতীয় বেগমের এক সন্তান ছিল দেওয়ান আলী হায়দার। তিনিই নসা মিয়া নামে পরিচিত। তিনি জমিদারির কিছু অংশ পেয়ে মিঠামন থানাস্থিত ঘাগড়া গ্রামে বসবাস করতে থাকেন। আজও তার বংশধরগণ ঘাগড়ায় বসবাস করে তাঁর স্মৃতি বহন করছে। হযরত সৈয়দ আলাই মিয়া কয়টি বিবাহ করেছিলেন তা জানা যায় নি। হযরত আলাই মিয়া সাহেবের দুই পুত্র-সৈয়দ নােয়াব মিয়া সাহেব ও সৈয়দ লাল মিয়া সাহেব ও এক কন্যা ছিল । নওয়াব মিয়া সাহেব ও কন্যাটি বাল্য বয়সেই দেহত্যাগ করেন। লাল মিয়া সাহেব বয়ঃপ্রাপ্ত হলে বাজিতপুর থানাস্থিত ভাগলপুর দেওয়ান সাহেবের কন্যাকে বিবাহ করেন। দেওয়ান সাহেবের কন্যা ছিলেন অর্ধেক জমিদারি মালিক। কাজেই জমিদারি পরিচালনার জন্য বাধ্য হয়ে তাকে ভাগলপুরে থাকতে হয়েছে। হযরত আলাই মিয়া সাহেব সংসার বিরাগী ছিলেন। জমিদারি পেয়ে জমিদারি রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি তার কোনাে খেয়াল ছিল । সর্বদা তিনি আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। এ জন্য জমিদারি ক্রমান্বয়ে বিনষ্ট হতে থাকে। তার প্রধান বাক্য ছিল “ত্যাগের ভিতরই খােদা প্রাপ্ত হয়, ভােগের ভিতরে নয়”। তার একমাত্র পুত্র লালমিয়া সাহেব জমিদারি পরিচালনায় যাওয়ার পর হযরত আলাই মিয়া সাহেব পংসার হতে পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে বাড়ির বাইরে একটি পণ্য কুটিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানে দিবা-রাত্র ধ্যানমগ্ন থাকতেন। তখন হতে হাজার হাজার হিন্দু, মুসলমান, সাক্ষর, রক্ষর, খান্দানি, আখান্দানি লােক তাঁর নিকট শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে শুরু করে। সেই স্কুল শিরমনি দেহ ত্যাগের পূর্বাপর অসংখ্য কেরামত ও গুণাবলি প্রবীণদের মুখে শুনা যায়। তার মাজার শরিফ প্রসিদ্ধ হাউলিবাড়ির সামনে রয়েছে। প্রতি বছর মহা সমারােহে মহররম ও ওরশ শরিফ উদযাপিত হয়ে থকে।
আন্দিকোর্ট
Oct 18 2021
আন্দিকোর্ট
আন্দিকোর্ট সৈয়দ সােলায়মান প্রকাশ্যে বড়বাবু। তিনি আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলি ছিলেন। তিনি বনে-জঙ্গলে ঘুরেফিরে কামালিয়াতের উচ্চতরে উন্নতি লাভ করেন। অবশেষে তিনি আন্দিকোর্ট গ্রামের পাশে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এক উচ্চ মুড়ায় আসন গ্রহণ করেন। এই মুড়া বা উচ্চ স্থানটি এখনও পীরের মুড়া নামে পরিচিত। তা কয়েকশত বছরের স্মৃতি বহন করে এখনও রয়েছে। আন্দিকোর্ট এবং তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলাে তখন বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। বড়বাবু সেখানে আসন গ্রহণ করে বলেছিলেন যে, ইয়েত আন্দাকুট হ্যায়’ অর্থাৎ এটা যেন দুর্গের ন্যায় অন্ধকার। তারই ভাষায় এ গ্রামের নাম ‘আন্দিকোর্ট’ নামে অভিহিত হয়েছিল। আন্দিকোর্ট ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে শতকরা আশি ভাগ হিন্দু বসবাস করত। এজন্যই হয়তাে বড়বাবু এ স্থানটিকে তার কর্মস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এ মুড়ায় আসন গ্রহণ করার পরই এই অলিয়ে কামেলের কেরামতি প্রকাশ পায়। তার আসনের অতি নিকটেই তার একটি মুড়া ছিল। সেখানে একজন হিন্দু সাধক বহু বছর যাবত সাধনায় রত ছিল। একদিন শাহ সােলেমান (রহ.) ঐ সাধককে জিজ্ঞেস করেন তুমি কি উদ্দেশ্যে এখানে বসে আছ, প্রতি উত্তরে সে বলে, আমি মা গঙ্গার দর্শন লাভের উদ্দেশ্যে এখানে সাধনা করছি। শাহ সােলায়মান (রহ.) বললেন, হে সাধক সারা জীবন তপস্যা করলেও তােমার এই আশা পূর্ণ হবে না। তবে শােন, আমি যদি তােমার এই আশা পূর্ণ করে দিতে পারি তবে কি তুমি মুসলমান হবে? সাধক তার কথায় স্বীকৃতি দিল। শাহ সৈয়দ সােলায়মান (রহ.) বললেন, তুমি আগামিকাল প্রভাতে তােমার প্রতিষ্ঠিত গঙ্গা-মাকে দেখবে তবে এলাকায় প্রচার করে দাও সমস্ত হিন্দুরা যেন বুড়িগঙ্গার তীরে সমবেত হয়। সবাই দর্শন করতে পারবে। সাধক সমস্ত এলাকায় প্রচার করে দিল আগামিকাল গঙ্গা দেবীর দর্শন মিলবে- এ প্রচারে হাজার হাজার হিন্দু নর-নারী গঙ্গার তীরে এসে সমবেত হলাে, এলাকার মুসলমানরাও এ দৃশ্য দেখার জন্য উপস্থিত হলাে। পরদিন ফজর নামাজ শেষে শাহ সৈয়দ সােলায়মান (রহ.) মােরাকাবায় বসলেন। | এদিকে সুর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেই বুড়িগঙ্গার পানির নিচ থেকে আস্তে আস্তে এক বিরাট নারীমূর্তি ভেসে উঠতে লাগল। মূর্তি পানির ওপরে ভেসে উঠল এবং কতক্ষণ পানির ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আবার আস্তে আস্তে পানির নিচে তলিয়ে গেল । হিন্দু নর-নারী মূর্তিকে গঙ্গাদেবী বলে বিশ্বাস করল। সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে শাহ সৈয়দ সােলায়মান (রহ.) নাম প্রচার হয়ে গেল। এলাকার হিন্দুরা অনেকেই ইসলাম ধর্মকে সত্য ধর্ম বরে বিশ্বাস করে মুসলমান হতে আরম্ভ করল এবং মুসলমানগণ তার হাতে বায়েত গ্রহণ করতে লাগল । কিছুদিন পর ঐ এলাকার মুসলমানগণ ও নবদীক্ষিত মুসলমানগন মিলিত হয়ে শাহ সেয়দ সােলায়মান (রহ.)-কে অনুরােধ করে আন্দিকোর্ট গ্রামে নিয়ে আসেন এবং তিনি এ গ্রামেই বিবাহ করে বসতী স্থাপন করেন। তার ওরশে এক পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার নাম শাহ সৈয়দ আহম্মেদ। তত্ত্বংশে শাহ সৈয়দ আলী আজগর, শাহ সৈয়দ আফজল, শাহ। সৈয়দ মােঃ জামান, সৈয়দ আঃ করিম, সৈয়দ আবুল হােসেন, সৈয়দ ছায়েদুল হােসেন। ওরফে ছমিঞা সাহেব। প্রত্যেকেই প্রতিভাবান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানসম্পন্ন অলিয়ে কামেল ও গদ্দীনশিন পীর ছিলেন।
হয়বতনগর দেওয়ান সাহেববাড়ি
Oct 18 2021
হয়বতনগর দেওয়ান সাহেববাড়ি
কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কিশােরগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে প্রসিদ্ধ হয়বতনগর দেওয়ান। বাডি অবস্থিত । ইতিহাস-প্রসিদ্ধ নবাব ঈশা খাঁর বাড়ি কিশােরগঞ্জ শহরের অনতি দূরে। মঙ্গলবাড়িতে অবস্থিত। নবাব ঈশা খার নাতি দেওয়ান লতিফ খা বর্তমান হয়বতনগরে এসে বাসস্থান নির্মাণ করেন এবং এখান হতে রাজ্য পরিচালনা করতেন। পুরানাে ইমারত, ভগপ্রাসাদ, মাঠ, দিঘি, মসজিদ সবকিছু মিলিয়ে আজো পরানাে ঐতিহ্য বহন করে দাড়িয়ে আছে হয়বতনগর দেওয়ানবাড়ি। বর্তমানে শহরের চাকচিক্যে বাড়িটি স্নান দেখালেও আভিজাত্যতার গর্বে শির উচু করে দণ্ডায়মান।। হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ি নিবাসী দেওয়ান এলাহ নেওয়াজ খান সুলতানশী হতে সৈয়দ। আবদুল্লাকে হয়বতনগর নিয়ে আসেন এবং নিজ কন্যার বিবাহ দিয়ে ও জমিদারি প্রদান করে জামাতা আবদুল্লাকে দেওয়ান বাড়ির ৪ আনা অংশ দান করেন। সে থেকেই হয়বতনগরে। সৈয়দগণের অবস্থান শুরু এবং অদ্যাবদি আছে। প্রথম বিবি মারা যাওয়ার পর সৈয়দ আবদুল্লাহ জঙ্গল বাড়িতে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। সৈয়দ সাহেববাড়িতে পুরানাে ঢাল, তলােয়ার যা পাহারাদারগণ ব্যবহার করত তা আজো এ বাড়িতে দেখা যাচ্ছে। আরাে কিছু দর্শনীয় প্রাচীন জিনিস তারা কিশােরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে দান করে গেছেন। নবাবী আমলের গেইট, হুসেনী দালান, ইমারত সেকালের প্রাচুর্যের নিদর্শন আজ ভগ্নাবস্থায় অতীত সাক্ষ্য বহন করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। সৈয়দদের পরশে, স্নেহের আবেশে এলাকা হয়েছে সমৃদ্ধ। তাদের দান ও অকৃত্রিম ভালােবাসায় মানুষ হয়েছে মুগ্ধ। কিশােরগঞ্জ সােয়ালাখিয়া ঈদগাহের প্রতিষ্ঠাতা এ সাহেববাড়ি । হয়বতনগর বিখ্যাত আলিয়া মাদ্রাসার স্থান সাহেববাড়ির দান। সৈয়দ নাসির উদ্দিন সিপাহসালারের ১২তম অধস্তন পুরুষ জনাব সৈয়দ ওয়াতিরের পত্র সৈয়দ আঃ ছােবাহান। তাঁর তিন পুত্র প্রথম পুত্র সৈয়দ আব্দুল্লাহ, দ্বিতীয় সৈয়দ আঃ হেলীম, তৃতীয় সৈয়দ আঃ বাকী।বৃহত্তর সিলেট জেলার অধীনে বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সুলতানশী জমিদার বাড়ি অবস্থিত। সে ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িতে সৈয়দ আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা। লাভ-এর পরবর্তী সময় ভারতের দেওবন্দে লেখাপড়া করেন। তিনি জমিদার পরিবারে জনা নিলেও খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতে ভালােবাসতেন। যৌবনে তার অনুপ্রেরণায় হবিগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সৈয়দ আব্দুল্লাহর পূর্বপুরুষ সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ)। পূর্বপুরুষদের মতাে সৈয়দ আব্দুল্লাহও ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়ােগ করেন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ আধ্যাত্মিক জ্ঞান, অমায়িক ব্যবহার, পরহেজগারী সহ বিভিন্ন গুণের অধিকারী ছিলেন। বারাে ভূঞা প্রধান ঈসা খা মসনদেই আলার ১১তম বংশধর দেওয়ান এলাহী নেওয়াজ খা এসব অবগত নয় । তার কোনাে পুত্রসন্তান ছিল না। তিনি দুই কন্যার জনক। (১) দেওয়ান জমিলা খাতুন, (২) দেওয়ান আসমা আক্তার খাতুন। দেওয়ান এলাহী। নেওয়াজ সাহেবের প্রথম কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সুলতানশী হাবেলির জনাব সৈয়দ আঃ ছােবাহান সাহেবের কাছে হয়বতনগর জমিদার বাড়ির পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান হয়। দেওয়ান এলাহী নেওয়াজের কোনাে পুত্রসন্তান না থাকার দরুন তিনি ভীষণ চিন্তিত ছিলেন যে, এত বড় জমিদারি কে পরিচালনা করবেন। তিনি জানতে পারলেন হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সুলতানশী হাবেলির এক সৈয়দজাদা আছেন তার নাম সৈয়দ আব্দুল্লাহ (চান মিয়া)। এদিকে সৈয়দ আঃ ছােবহান তার বড় পুত্র কিশােরগঞ্জ মহকুমা বর্তমান কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হয়বতনগর জমিদার বাড়িতে বিবাহ করাবেন স্থির করলেন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ দেওয়ান জমিলা খাতুনকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে তিনি। জমিদারি দেখাশুনার দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেন। ঢাকা, নরসিংদী, বেলাবাে, মনােহরদী, কিশােরগঞ্জ, নেত্রকোনা, মােহনগঞ্জ, কমলাকান্দা, বি.বাড়িয়ার সরাইল ইত্যাদি জমিদারি এলাকা দেখাশুনা করতেন। | জমিদার হিসেবে সৈয়দ আব্দুল্লাহ অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তার কাছে। হিন্দু ও মুসলমান প্রজারা সমান কদর পেত। প্রজাদের সুবিধার জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল। গােরস্থান, শ্মশানঘাট ব্যাপকভাবে নির্মাণ করেন। তিনি একজন বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। উপমহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ঈদগাহ কিশােরগঞ্জ শােলকিয়া ঈদগাহ । তিনি ঈদগাহের ইমামতি করেন। কিশােরগঞ্জ হাই স্কুল প্রতিষ্ঠাকাল ১ জুলাই, উক্ত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে ১০ মে, ১৮৮১-তে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় যা নয় এনট্রেন্স স্কুল কমিটির সভা নামে পরিচিত । উক্ত কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ জমিদার, হয়বতনগর । “A history of the Charitable Despensaries in the District Mxmensing” গ্রন্থের ১৯১৯ সালে প্রকাশিত ও কৃষ্ণনাথদের উক্ত গ্রন্থ থেকে জানা। সায় যে, ১৮৭৫ সালে হয়বতনগর জমিদার সৈয়দ আব্দুল্লার উদ্যোগে দাতব্য চিকিৎসালায় তসেবে কিশােরগঞ্জ সদর হাসপাতালের যাত্রা। দীর্ঘ ১৪ বছরের ব্যয়ভার বহন করেন। জমিদারির আয় থেকে। দেওয়ান জমিলা খাতুন নিঃসন্তান ছিলেন। তার মৃত্যর পর স্বামী। সৈয়দ আব্দুল্লাহ স্ত্রীর অংশ থেকে (চার আনা) জমিদারির অংশ লাভ করেন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিবাহ করেন কিশােরগঞ্জ অন্তর্গত ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ি মসনদে-ই-আলা ঈশা খাঁর অধস্তন পুরুষ দেওয়ান চোবাহান দাদ খার একমাত্র কন্যা দেওয়ান বরজেস্তা আক্তার খাতুনকে । দেওয়ান বরজেস্তা আক্তার খাতুনের গর্ভে তিন পুত্র ও দুই কন্যা জন্মগ্রহণ করেন । (১) সৈয়দ উবেদ উল্লাহ, (২) সৈয়দ আজিজ উল্লাহ (কুমিল্লার সাহেব)। (৩) সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লাহ টেনামিয়া । (১) কন্যা সৈয়দা হাফিজের মা, (২) সৈয়দা ছামেরা আক্তার খাতুন-এর বিবাহ হয় সুলতাশী হাবেলির সৈয়দ আঃ আলিমের সাথে। সৈয়দ আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিবি ইন্তেকালের পর তিনি পুনরায় বিবাহ করেন কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বৌলাই জমিদার বাড়ির সৈয়দ শাহ মােঃ সায়েফুল হক (দাউদনগর) সাহেবের পুত্র সৈয়দ আঃ বারী সাহেবের কন্যা সৈয়দা ফরকুন্দা আক্তারকে। সৈয়দা ফরকুন্দা আক্তার খাতুনের গর্ভে দুই ছেলে – (১) সৈয়দ মােঃ রাজী উল্লাহ, (২) সৈয়দ মােঃ আতিকুল্লাহ (অ্যাডভােকেট)। সৈয়দা ফরকুন্দা আক্তার খাতুন মসনদে-ই-আলা ঈসা খাঁ ১১তম বংশধর খােদানেওয়াজ খার একমাত্র কন্যা দেওয়ান রওশন আরার বিবাহ হয় নরপতি সৈয়দ শাহ আহমদ উল্লার সাথে। দেওয়ান রওশন আরার কন্যা দেওয়ান তাবিন্দা আক্তার খাতুন তার। দুই কন্যার মধ্যে সৈয়দা ফরকুন্দা আক্তার খাতুন প্রথম কন্যা হয়বতনগর জমিদারবাড়ির সাবেক চার আনির অর্ধেক সম্পত্তির মালিক। মাতার দিক দিয়ে দেওয়ান ও পিতার দিক দিয়ে সৈয়দ।। | সৈয়দ আব্দুল্লাহ ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ছােট ভাই-এর অসুখের খবর পেয়ে তিনি নিজ দেশ সুলতানশী যান সেখানে ইন্তকাল করেন। তাকে দাফন করা হয়। সুলতানশী পারিবারিক কবরস্থানে তালতলার পুকুরের পার্শ্বে। সেই মহাপ্রাণ ব্যক্তি চিরদ্রিায়। শায়িত আছেন সেখানে। তার শৈশব কেটেছিল নিজ জন্মস্থান পৈত্রিক নিবাস সুলতানশীতে।
ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি
Oct 18 2021
ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি
কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাজিতপুর উপজেলাধীন প্রসিদ্ধ ভাগলপুর দেওয়ানবাড়ি অবস্থিত। এ দেওয়ানবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান আদাম খাঁ। দেওয়ান আদাম খাঁ নবাব ঈশা খাঁর ছেলে। আদাম খাঁর ৭ম অধস্তন পুরুষ দেওয়ান ইব্রাহিম খা! ইব্রাহীম খাঁ পর্যন্ত এ বাড়িতে নবাব ঈশা খাঁর বংশধরগণ ছিলেন। দেওয়ান ইব্রাহিম খাঁর কোনাে ছেলে সন্তান ছিল না। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং রাজপরিবারের দেওয়ান নসিবুর রাজা দেওয়ান ইব্রাহিম খার কন্যা দেওয়ান আমাতুজ জোহরাকে বিবাহ করে এ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন এবং পরগনার শাসনভার প্রাপ্ত হন। দেওয়ান নসিবুর রাজার ছেলে দেওয়ান আহমেদুর রাজা। (রহ.) ওরফে পাগলা দেওয়ান। পাগলা দেওয়ানের কোনাে পুত্র সন্তান ছিল না। তাঁর কন্যা আকিকুনন্নেসা বানুকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন সৈয়দ আবদুল হাশিম (লাল মিয়া) আবদল হাশিম অষ্টগ্রাম থেকে এখানে এসে বিবাহ করে বসবাস শুরু করেন এবং বিশাল ভূ-সম্পতি মালিকানাসহ পরগণার দেওয়ানী লাভ করেন। | সৈয়দ আবদুল হাশিম সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ.)-এর সরাসরি বংশধর। ভাগলপুর বাড়ির দুটি অংশের পশ্চিমাংশে সৈয়দ আব্দুল হাশিম সাহেবের বংশধরগণ বাস করছেন। আর পূর্বাংশে আকিকুনন্নেসার প্রথম স্বামী সৈয়দ গােলাম রহমান সাহেবের বংশধরগণ বাস করছেন। সৈয়দ গােলাম রহমান সাহেব ছিলেন বাজিতপুর থানাধিন দিলালপুর সাহেববাডি নিবাসী। তিনি দেওয়ান আকিকুনন্নেসা বানুকে বিবাহ করে জমিদারি পেয়ে ভাগলপুর। দেওয়ান বাড়িতে স্থায়ী হন। শুনা যায় সৈয়দ গােলাম রহমান সাহেবের পূর্বপুরুষ শাহ সৈয়দ আবদুর রহমান (কুতুব সাহেব) মােগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় কিশােরগঞ্জের জংগলবাড়ি হয়ে দিলালপুরের মীরমহল্লায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানে তাঁর মাজার রয়েছে। মূলত তিনি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এখানে আসেন। তিনি আরবের অধিবাসী ছিলেন। বর্তমানে ঐ বাড়িতে কেউ থাকে না। সেখানে আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। এ বাড়ির ৫১নং জমিদারি অর্থাৎ ১৫ পরগণার দেওয়ানি ছিল। বাড়ির সামনে একটি সুন্দর কারুকার্য খচিত মসজিদ রয়েছে। মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন নবাব ঈশা খার অবত” পুরুষ দেওয়ান গউস খা। এ মসজিদটিতে মােগল ও সেন বংশীয় স্থাপত্যের নিদশ” রয়েছে। বিশাল বাড়ি, রাস্তা থেকে নেমে কিছুদুর বাগান পার হলেই ১০০ বছর পূর্বের সুন্দর বাংলাে নমুনার দালান। তারপর আরাে কিছুদূর অগ্রসর হলে মূল বাড়িতে প্রবেশ করা যায়। ভিতর বাড়িটিও খুব সুন্দর ফুলের বাগানে সজ্জিত। যে কোনাে মানুষ এ বাড়িতে গেলে তার মন-মানসিকতার পরিবর্তন অনিবার্য। বাড়ির মায়ার সাথে মানুষগুলােও শিল্পকলায় পরিপূর্ণতা লাভ করে আসছে। ভাবুকের ভাবনার এক নিরবচ্ছিন্ন স্থান এ দেওয়ানবাড়ি। বর্তমানে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য দেওয়ান আহমেদুর রাজা ওরফে পাগলা দেওয়ান (রহ.)-এর মাজার। তিনি বিশাল দেওয়ানি ত্যাগপূর্বক ১৫ বছর নিরুদ্দেশ ছিলেন। তিনি মজুপ ফকির ছিলেন। তাঁর অনেক কারামতের কথা শুনা যায় । ১৪ বছর পর ১লা ফাল্গুন তিনি পুনরায় ভাগলপুর ফিরে আসেন। তখন বহু লােক তাকে দেখতে আসে। সে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণ করে প্রতি বছর। ফাল্গুন মাসের প্রথম সােমবার (সাবেক পঞ্জিকানুযায়ী) তার মাজারে বিরাট ওরশ শরিফ মহা ধুমধামে উদযাপিত হয় । বহু পাগলা ফকিরের আগমন এখানে প্রতিনিয়তই হচ্ছে। ৩১শে আষাঢ় ওফাত দিবস উপলক্ষে ওরশ শরিফ উদ্যাপিত হয়। “চেরাগী মুটুক” প্রকাশ্য ইমামবাড়ি। এ ইমামবাড়িতে মহররমের শােকানুষ্ঠান [ অনুষ্ঠিত হয় । দেওয়ান ইব্রাহিম খাঁ বিবাহ করেন পঠি নরপতির এ বিবি পীরানী বিবি। নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নাম ছিল সৈয়দ এমনষ্টান বানু। পীরানী বিবি সর্বপ্রথম মহররম অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। বর্তমান দেওয়ানবাড়ি হতে ১ মাইল পশ্চিমে (আনুমানিক) ৩ | একর ২১ শতাংশ ভূমি যা প্রকাশ্যে ইমামবাড়ি নামে পরিচিত, তা মহররম মাসের ১০ তারিখে বিভিন্ন স্থান হতে তাজিয়া মিছিল দেওয়ান বাড়িতে এসে জড়াে হয় এবং এখান থেকে পুনরায় ইমামবাড়িতে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে এ অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অদ্যাবদি চলছে। শেরে বাংলা নাজিম উদ্দিন, সােহরাওয়ার্দীসহ সকল নেতাগণই এ বাড়িতে এসেছেন। এ বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান ইব্রাহিম খা বাঘের সাথে লড়াই করছেন বলে প্রবাদ আছে। তার জমিদারি এলাকার মধ্যে ভৈরব, কুলিয়াচর, নরসিংদীর অর্ধেক পর্যন্ত ছিল। দেওয়ান শ্রাহিম খাঁর ব্যবহৃত ঢাল, তলােয়ার, বল্লম রয়েছে। এ ঐতিহ্যবাহী বাড়ি আজো তার পুরানাে ঐতিহ্য নিয়ে শির উঁচু করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে।
ভাউকসার
Oct 19 2021
ভাউকসার
এনায়েত গাজী চৌধুরীর পুত্রগণের মধ্যে গাজী চৌধুরী হােমনাবাদ পরগণার বহৎ জমিদারির অংশ ও অন্যান্য পরগণার বহু সম্পত্তি অর্জন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তদীয়। কন্যা বদরুন্নেছা চৌধুরানী লাকসাম পশ্চিমগাঁয়ে তাঁর মাতা নওয়াব ফয়জুন্নেসার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ভাউকসার বাড়িতে মাহমুদ গাজী চৌধুরীর ভাতিজা মুজাফর গাজী। চৌধুরী বসবাস করতে থাকেন। পরে তার জামাতা সৈয়দ এমদাদুল হক লাল মিয়া বসবাস করেনও জমিদারি দেখাশুনা করতেন। বর্তমানে লাল মিয়া সাহেবের উত্তরাধিকারীগণ। ভাউকসার বাড়িতে বাস করছেন।’ এই উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নওয়াব, “নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর” স্বামীর । বাড়ি ভাউকসার। তাঁর স্বামী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার মহামুদ গাজী চৌধুরী । বর্তমান। বরুড়া উপজেলাধীন ভাউকসার একটি প্রসিদ্ধ প্রাচীন গ্রাম। কুমিল্লা শহর হতে চাদপুরের। পথে মাত্র ১৪ মাইল দূরে। শহর হতে এক ঘণ্টার মধ্যে ভাউকসার পৌছা যায়। পুরাতন ইমারত, মসজিদ স্কুল, মাঠ, দিঘি, মাদ্রাসা, ইউ, পি অফিস সহ প্রকাণ্ড বাড়ি দেখলে অনায়াসেই গৌরবােজ্জ্বল অতীত স্মৃতি মনের দর্পণে ভেসে ওঠে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা একবার নৌকা ভ্রমণে বের হয়ে লাকসাম পশ্চিমগাও হতে ৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ভাউকসার স্বামীর বাড়ি আসেন। নৌকা মাহমুদ গাজী চৌধুরীর বাড়ির পিছন দিয়ে পুকুর ঘাটে এসে লাগে । ৭ দিন নওয়াব ফয়জুন্নেসা নৌকার মধ্যে অবস্থান করে লাকসাম ফিরে যান বলে কথিত আছে।। | মােহাম্মদ গাজী চৌধুরীর ভাউকসারের বাড়িতে তার কন্যার অর্থাৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসার। মেয়ের সর্তে সত্যবান হয়ে সে বাড়িতে বর্তমানে মােতয়াল্লী হিসেবে আছেন সৈয়দ রহমত উল্লা (সিজার)। তার আগে মােতয়ালী ছিলেন তারই নানা জনাব সৈয়দ আবুল ফজল সাহেব। সৈয়দ রহমত উল্লা সেখানে বেসরকারিভাবে অনেক সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে। গেছেন এবং ভাউকসারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন। ২০১০ সালে সৈয়দ রহমত উল্লাহ। ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ এমদাদুল হক ওরফে লালমিয়া সিলেটের প্রসিদ্ধ পৈলে জন্মগ্রহণ করেন । তাই পিতার নাম সৈয়দ জহিরুল হক। তিনি ভাউকসার নিবাসী প্রসিদ্ধ জমিদার মুজাফফর গা চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করে ভাউকসার বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ এমদাদুল হক শতাব্দীর একজন উল্লেখযােগ্য ব্যক্তি। অল্প লেখাপড়া জানলেও তিনি ছিলেন অফুরন্ত প্রতিভার অধিকারী। সমস্ত বেঙ্গল ও আসামে তার নাম ছড়িয়েছিল। | তৎকালে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যেমন- ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ১৯১৬ – ১৯২১ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য, কুমিল্লা, জেলা বাের্ডের মেম্বার, লােকাল বাের্ডের মেম্বার, রয়েল এশিয়াটিক সােসাইটির মেম্বার। ১৯৪৬ সালে হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর অনুরােধে বেঙ্গল আইন। পরিষদের নির্বাচন হতে বিরত থাকেন। আইন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তিন কতগুলাে অতিগুরুত্বপূর্ণ আইনের পরিবর্তন সাধন করেন। যেমন— জেলখানায় মসজিদ ও নামাজের ব্যবস্থা, মৃত কয়েদীগণের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা, জোর করে দাড়ি কামানাে। রহিতকরণ । ফারসি ও উর্দু তার ভালাে দখল ছিল। সংসদে তিনি ফারসিতে বক্তৃতা করতেন। তিনি হজ্জব্রত পালন করেন।।
বানিয়াচং মীরমহল্লা
Oct 19 2021
বানিয়াচং মীরমহল্লা
হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বানিয়াচং উল্লেখযোগ্য থানা, আর সেই থানায় এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং যা ছিলো লাউওর রাজ্যের রাজধানী।এখানে বাস করতেন রাজ্যের রাজাগণ । সে যুগে নৌ যোগাযোগ ছিল অত্যান্ত উণ্ণত। ১২ মাইল উত্তর-পশ্চিমে বালি দক্ষিণ-পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র, তিতাস গড়ে ওঠেছিল তাঁর পুরােভাগে ছিলে আধ্যাত্মিক সাধকগণ ।আনুমানিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে।আন্তর্গত বানিয়াচং একটি উল্লেখযােগ্য থানা আর সেই থানায় এশিয়া আর গাম বানিয়াচং, যা ছিল লাউড় রাজ্যের রাজধানী। এখানে বাস করতেন।বে যাগ নেী যােগাযােগ ছিল অত্যন্ত উন্নত। জেলা শহর থেকে মাত্র মে বানিয়াচং গ্রাম। বর্তমানে সড়কপথ খুবই উন্নত, হবিগঞ্জের cল বহ্মপুত্র, তিতাস, গােমতী ও খােয়াই নদীর তীর বেয়ে যে মুসলিম সভ্যতা দিল তার পুরােভাগে ছিলেন হযরত সৈয়দ শাহ নাসির উদ্দিন (রহ)-এর অধস্তননিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত সৈয়দ শাহ নাসির উদ্দিন (রহ.) সাহেবের নবম। হযরত সৈয়দ শাহ নূর আহমদ (রহ.) তরফের নরপতি থেকে স্থান পরিবর্তন করেন। জানা যায় তিনি একটি বিলের চরের মধ্যে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বৃহৎ বাড়ি নির্মাণ র আয়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই এলাকা তার নামে নরচর গ্রাম। নামে পরিচিতি লাভ করে। তার পুত্র সৈয়দ শাহ মুহসিন ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে তরফের উত্তরপর্ব প্রান্তে খােয়াই নদীর তীরে অবস্থিত ইনাতাবাদ নিবাসী সৈয়দ শাহ আবুল কাসিমের। কন্যা অর্থাৎ সৈয়দ শাহ ইনায়েত উল্লাহর ভগ্নিকে বিবাহ করে ইনাতাবাদে স্থায়ী হন। সৈয়দ শাহ মুহসিনের পুত্র সৈয়দ শাহ ওয়াজিহ উদ্দিন ছিলেন সুবিচারক (কাজি)। বিজ্ঞ তরুণ বিচারকের দক্ষতা, যােগ্যতা ও সততায় সমাজের সকলেই তাকে সম্মান করত। কথিত আছে বানিয়াচঙ্গের রাজা বাহাদুর তার ইলমে জ্ঞান প্রতিভা ও বিচারকার্যে সন্তষ্ট হয়। রাজ দরবারে (কাজি) বিচারক পদে নিয়ােগ দিয়েছিলেন এবং শরিফ খান্দান জেনে নিজ। পরিবারভুক্ত করেছিলেন। তিনি ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে দেশ বিখ্যাত রাজা বাহাদুর দেওয়ান। আবিদুর রাজার কন্যা অর্থাৎ দেওয়ান উমেদুর রাজার ভগ্নি দেওয়ান আসমা বানুকে বিবাহ করে ইনাতাবাদ হতে বানিয়াচং গ্রামের পূর্বগড় মহল্লায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। দেওয়ান উমেদুর রাজা কয়েকটি তালুক ভগ্নীপতির সম্মানে মদতমাস স্বরূপ দান করেন। | আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ সৈয়দ শাহ ওয়াজিহ উদ্দিন (রহ.) ১৭২০ সালে দেহত্যাগ করেন, তার মাজার বানিয়াচং পূর্বগড় (মীরমহল্লা) অবস্থিত। জনশ্রুতি আছে যে, তাঁর মাজার প্রতি শুক্রবারে গভীর রাতে একরকম আলােকরশি দেখা যেত এবং মাজারেরপাশে আতর-গােলাপের ঘ্রাণে মুহিত হয়ে উঠত। যা আজও লােকমুখে শােনা যায়। য়দ শাহ ওয়াজিহ উদ্দিনের পুত্র মীর সৈয়দ গােলাম হাফেজ দিল্লির তৎকালীন সম্রাট।তার সম্মানস্বরূপ তাঁকে মীর উপাধি দেন। তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায়। নি। তিনি লাতুর (কুলাউড়া) মুন্সেফ কোর্টের মীর মুন্সেফ (প্রধান বিচারক)!( পূবগড় মৌজার যে মহল্লায় তিনি বাস করতেন তা মীর সাহেবের সম্মানেই মীর মহল্লা নামে রেকর্ডকৃত হয় যা অদ্যাবধি পূর্বৰ্গড় মীরমহল্লা নামে খ্যাত। তিনি প্রথম বিবাহ করেন দেওয়ান উমেদুর রাজার কন্যা দেওয়ান রচান বানু (মামাতাে বােন) এই পক্ষে সৈয়দ গােলাম ইমাম সৈয়দ আবু ইমাম, সৈয়দ ছকিনা বানু ও সৈয়দা আলিমা বানু। পরবর্তীতে তিনি গড়পাড়া মৌজার হেমিয়ার পাড়ার মিরাশদার জনাব খন্দকার হেসুউজ্জামান সাহেবের কন্যা খন্দকার ফাতিমা খানমকে দ্বিতীয় বিবাহ করে সেখানে চলে যান। তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। একইভাবে ঐ বাড়িটির নাম মারবাড়ি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যা অদ্যাবধি মীরবাড়ি নামে রেকর্ডভুক্ত। | মীর সৈয়দ গােলাম হাফেজ, মাওলানা সৈয়দ গােলাম ইমাম, মৌলবি সৈয়দ আলী ইমাম, মৌলবি সৈয়দ হােসেন ইমাম ও মৌলবি সৈয়দ আব্দুল আলীসহ অনেকেই হেমিয়ার পাড়া জামে মসজিদ ও দিঘির দক্ষিণ পাশে চির নিদ্রায় শায়িত। মারবাড়ির পাশ দিয়েই বানিয়াচং-এর ঐতিহ্যবাহী গড়েরখাল বয়ে গেছে যা তৎকালীন রাজা গােবিন্দ খাঁ (ধর্মান্তরিত রাজা হাবিব খা) বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে রাজ্যের রাজধানী বানিয়াচংকে। সুরক্ষিত রাখার জন্য বানিয়াচং গ্রামের চতুর্দিকে নদীসম খাল খনন করেছিলেন। যা দিয়ে প্রতিদিন শতশত নৌকা চলাচল করত। এ খালের অদূরেই যাত্রাদিঘি। এই দিঘিতে শ্রাবণ। ও ভাদ্র মাসের প্রতি সােমবার নৌকা দৌড় হতাে। দৌড়ের নৌকা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ছিল এই গড়ের খাল । তাছাড়া মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসবের সময় অর্থাৎ বিয়ে ও পূজা-পার্বণে গান-বাজনা, আতশবাজি করে এই খাল দিয়ে নৌকা নিয়ে আসাযাওয়া করত । কিন্তু মীরবাড়ির কাছে আসার আগেই অলিদের মাজারের সম্মানার্থে সব ধরনের গান-বাজনা বন্ধ করে দেয়া হতাে। যা আজ অবধি এই রেওয়াজ প্রচলিত আছে।। মীর সৈয়দ গােলাম হাফেজের (মীর মুন্সেফ)-এর পুত্র মাওলানা সৈয়দ গােলাম ইমাম উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় চলে যান। কোনাে এক সময় বানিয়াচং মুন্সেফ কোর্ট (ভিলেজ ব্যাঞ্চ) কামালখানি মৌজা থেকে। স্থানান্তরিত হয়। উল্লেখ্য মুন্সেফ কোটটি বর্তমান মীরমহল্লা সাহেববাড়িতেই ছিল। সরকার উক্ত ভূমি নিলাম করলে মাওলানা সৈয়দ গােলাম ইমাম (মুন্সেফ) সাহেব খরিদ করেন এবং এই ভূমি তার সম্মানার্থে সরকার কর্তৃক লাখেরাজ হিসেবে পান। যা পরবর্তীতে সৈয়দ গােলাম ইমাম পাট্টা নামে রেকর্ডভুক্ত হয়ে মীরমহল্লা নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমান সাহেববাড়ির গােড়াপত্তন করেন সৈয়দ গােলাম ইমাম সাহেব। সামনে বিশাল দিঘী, মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা থাকায় বাড়িটির শ্রী আরাে বৃদ্ধি করেছে। তার পরবর্তী বংশধরগণ। এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। | ঐতিহাসিক দিক দিয়ে মীরমহল্লা সাহেববাড়িটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত এবং অন্যান্য স্থানের সৈয়দগণের মতােই আপন গুণে গুণান্বিত। যদিও আজ আর কিছু নেই স্মৃতি ছাড়া।
তরফী সাহেববাড়ি
Oct 19 2021
তরফী সাহেববাড়ি
এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত ও বিশিষ্ট পরিবারবর্গ সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন এর বংশীয় সৈয়দগণের সাথে যােগসূত্র স্থাপন করার জন্য আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দেশে ইসলামের বাণী বহনকারী নবীর বংশ সৈয়দগণের সাথে আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার জন্য উক্ত পরিবারবর্গ বিশেষ আগ্রহী হতে থাকেন। তেমনিভাবে অবিভক্ত আসামবাংলার সেরা জমিদার পৃথিম পাশার নবাব আলী আমজাদ খান নরপতি পশ্চিম হাবেলিতে বিবাহ করেন। আসাম বাংলার শ্রেষ্ঠ পরক্রমশালী জমিদারের মধ্যে তাঁর নাম উল্লেখযােগ্য। ব্রিটিশ আমলে তাঁর স্টেটের ম্যানেজার ছিল ইংরেজ। তাঁর বাড়িতে পাহারাদার ছিল নেপালী। সব। সময় বাড়িতে ১০০টি বন্দুক থাকত এবং বন্দুকধারী বাহিনীর ছিল। তিনি যখন নরপতি পশ্চিম হাবেলিতে সৈয়দা ফাতিমা বানুর সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেন, তখন প্রথম অবস্থায় সৈয়দগণ তাতে রাজি হননি। কারণ নবাব আলী আমজাদ খাঁ ছিলেন শিয়া মুসলমান। তিনি নরপতি বিবাহ করতে এসে এ সমস্যায় পড়ে যান। এত বড় পরাক্রমশালী জমিদার বিবাহ করতে এসেছেন, যার সাথে চল্লিশটি হাতি নিয়ে এসে প্রায় এক সপ্তাহ নরপতি অবস্থান করে সৈয়দগণকে রাজি। করিয়ে বিবাহ করে যান। এ সংবাদে বিলাত পর্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিল। আজও ইতিহাস প্রসিদ্ধ হয়ে আছে পৃথিম পাশার নবাববাড়ি। ঢাকা থেকে সিলেট যেতে লংলা রেল স্টেশনের অনতি দূরেই প্রসিদ্ধ পৃথিম পাশা নবাববাড়ি অবস্থিত। ইরানের তত্ত্বালীন শাহানশাহ রেজাশাহ পাহলভী দু’বার স্বপরিবারে এ নবাববাড়িতে বেড়াতে আসেন। পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমউদ্দিন ইরানের শাহের সাথে এ বাড়িতে এসেছিলেন। তাছাড়া পৃথিবীর বহুস্থান থেকে পর্যটকগণ এ বাড়িতে আসতেন। নবাব আলী আমজাদ খানকে নিয়ে সিলেটে এখনাে প্রবাদ প্রচলিত আছে, যা সে এলাকার লােকমুখে শুনা যায় : “বেটা থাকলে আলী আমজাদ আর সব পুয়া, হাওর থাকলে হাকালকি আর সব কুয়া।” নবাব আলী আমজাদ খাঁ বহু স্কুল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অকাতরে দান করে গেছেন। মৌলভী বাজারে তারই প্রতিষ্ঠিত ‘আলী আমজাদ সরকারি গালর্স হাইস্কুল’ পৃথিম পাশা আলী আমজাদ হাইস্কুল তার মুসলিম শিক্ষা প্রসারের প্রচেষ্টার উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে । তরফী সাহেববাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ৯ কি.মি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পৃথিমপাশা তরফী সাহেববাড়ি অবস্থিত । সৈয়দ ময়জুদ্দিন হােসেন এই বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। সৈয়দ ময়েজুদ্দিন হােসেন ছিলেন সিলেটের প্রথম রাজপরিবার তরফের অন্যতম শাখা নরপতির সৈয়দ আমিন উদ্দিন হােসেন সাহেবের কন্যা সৈয়দা ফাতেমা বানুর ভ্রাতা। পৃথিমপাশার জমিদার আলী আমজাদ খানের প্রথম পত্নী ছিলেন সৈয়দা ফাতেমা বানু। তিনি অত্যন্ত রূপসী এবং বিদুষী মহিলা ছিলেন। নবীবংশীয় এবং রাজপরিবারের ঐতিহ্য থাকার কারণেই আলী। আমজাদ খান এখানে সম্বন্ধ স্থাপনে আগ্রহী হন। এ বিবাহে কন্যা পক্ষ হতে বিরােধীতা করা হলেও আলী আমজাদ খানের তীব্র জেদের কাছে হার মানতে হয় । সৈয়দা ফাতেমা বানু। সৈয়দ ময়েজুদ্দিন হুসেনকে আলী আমজাদ খানের ভগ্নী লতিফা বানুকে বিয়ে করে। আত্মীয়তার বন্ধনকে অধিকতার দৃঢ় করেছিলেন।।নওয়াব আলী আমজাদ খান তাঁর বােন লতিফা বেগমকে নরপতি নিবাসী সৈয়দ মইজউদ্দিন হােসেনের কাছে বিয়ে দিয়ে ভগ্নীপতিকে নরপতি হতে পৃথিমপাশা নিয়ে। আসেন। তিনি পৃথিমপাশার পশ্চিমাংশে এক বৃহৎ বাড়ি নির্মাণ করেন, যা তরফী। সাহেববাড়ি নামে পরিচিত। নরপতি তরফ পরগনায় অবস্থিত বলে সৈয়দ মইজউদ্দিনও। তরফের বাসিন্দা ছিলেন। সেজন্যই এ বাড়ির বিরাট জমিদারি লাভ করেন। তার পরবর্তী বংশধরগণ বর্তমানে এ বাড়িতে বাস করছেন। তরফী সাহেববাড়িতে প্রতি বছর মহররমের শােকানুষ্ঠান হয়ে থাকে। মূলত তারা নবাববাড়ির সাথে মিলেই এই মিছিল মার্সিয়া করে থাকে। ১০ই মহররমে বিরাট শােক মিছিল পৃথিমপাশা নবাববাড়ি থেকে যাত্রা করে গ্রামের পথ প্রদক্ষিণ করে তরফী সাহেববাড়ির সামনের পথ দিয়ে রবীর বাজারের পাশে অবস্থিত কারবালায় গিয়ে শেষ হয়। এবং মাগরিবের আগেই মুনাজাত হয়ে শােক মিছিল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এ অনুষ্ঠানটি মুসলিম জাতির জন্য একটি অতি উল্লেখযােগ্য ঘটনা। এই দিন কারবালার মরু প্রান্তরে ইমাম হােসেন (আ.) শহীদ হওয়া থেকেই ইসলাম নতুন জীবন লাভ করে। । এ বংশে ১৯১৮ সালে সৈয়দ বেনজীর হাসান তরফী সাহেববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ নুরুল হাসান। বাল্যকালেই তার প্রতিভা ফুটে ওঠে। সিলেট এমসি কলেজ ম্যাগাজিনে নিয়মিত তার কবিতা ও গল্প ছাপা হতাে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আইএ পরীক্ষার কিছুদিন পূর্বে তৎকালীন মারাত্মক রােগ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মাত্র বিশ বছর বয়সে এ বিরল সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী সৈয়দ বেনজীর হাসান ১৯৩৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানায় অবস্থিত তরফী সাহেববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সৈয়দ ময়েজ উদ্দিন হােসেন। মাতা লতিফা বানু। লতিফা বানু ছিলেন পৃথিমপাশার নওয়াব আলী আমজাদ খানের বােন।। সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন ভারতের প্রসিদ্ধ আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তাঁর ক্লাসমেট ছিলেন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল লিয়াকত আলী খান এবং ফতে মােহাম্মদ খান (এটর্নী জেনারেল)। | লেখাপড়া শেষ করে সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন নিজ বাড়িতে চলে আসেন এবং পৈত্রিক জমিদারি দেখাশুনা শুরু করেন। সাথে সাথে নিজস্ব লক্ষ্মীপুর চা বাগান তদারক। করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে থাকেন। সাংসারিক জীবনে সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন চার ছেলে ও তিন কন্যার জনক। ছেলে মেয়েরা যথাক্রমে সৈয়দ সালাহউদ্দিন হােসেন, সৈয়দ মনঞ্জুরুল হােসেন, সৈয়দ রিয়াজুল হােসেন, সৈয়দ শামসুল হােসেন। কন্যারা হলেন – সৈয়দা রেজিয়া বানু, সৈয়দা হেনা বানু স্বামী এম এম বাদশা সিরাজি তার দুই কন্যা বাবলি ও লাভলি, সৈয়দা আফতাবুন্নেছা স্বামী মকবুল হােসেন। সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারকে লােকবল দিয়ে। সাহায্য করেছিলেন এবং শমসেরনগর বিমান ঘাঁটি করার ব্যাপারে তিনি মিঃ ক্র্যামপনসহ উদ্যোগ গ্রহণের সাথে জড়িত ছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেনকে সম্মানসূচক খেতাব প্রদান করেন। খেতাবটি QCH — “MAJOR O.B.E” Major Order of the British Emperior. fol starts উন্নয়নে পৃথিমপাশা আলী আমজাদ উচ্চ বিদ্যালয় আংশিক ভূমি দান করেন। তিনি তরফী। সাহেববাড়ির সামনে লােকাল রােড সড়কের পাশে সদাপাশা সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয়ে ভূমি দান করেন। উক্ত স্কুলসমূহের তিনি যথাক্রমে গভার্নিং বাড়ির সেক্রেটারি ও সভাপতি ছিলেন। সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত চা বাগান মালিকদের মিটিংয়ে একবার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানরে সাথে সাক্ষাত করেন। আয়ুব খান একবার পৃথিমপাশা | এসেছিলেন। ইরানের শাহ যখন পৃথিমপাশা শিকারে আসেন তখন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিম উদ্দিনও এসেছিলেন। আয়ুব খান তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের সামরিক সচিব হিসেবে সাথে এসেছিলেন। | সৈয়দ শামসুদ্দিন হােসেন জমিদার হলেও মানুষের প্রতি তার দরদ ছিল। তিনি একজন পরহেজগার শ্রেণীর মানুষ ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি নিজ বাড়ি তরফী সাহেববাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
নওব ফয়েজুননেসা
Oct 19 2021
নওব ফয়েজুননেসা
আসসালামু আলাইকুম সুদি শ্রদ্ধা মন্ডলী আমার প্রিয় বাংলাদেশি ভাইবোনেরা আজকে আমরা একটা নতুন বিষয় আপনাকে বলব যেটা হয়তো আপনার অনেকেই আশ্চর্য হবেন বাংলাদেশের একজন নারী যার নাম নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী দিল্লি হাজার 800 89 সালে ব্রিটিশ গভমেন্ট কমিটির সভাপতি অর্থাৎ মহারানী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক নবাব খেতাব পেয়েছেন এই সাবকন্টিনেন্টে মহিলার নবাবের কোনো ইতিহাস নেই কোন মহিলা নবাব খেতাবে ভূষিত হন নি একমাত্র কয়জন নেশা নৌকায় বসে খেতাবে ভূষিত হয়েছেন এটা একটা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের বিষয় কি করে এই মহিলা নক করেন তাঁর জন্ম কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার অন্তর্গত পশ্চিমগাঁও তার বাবা ছিলেন আহমদ আলী চৌধুরী একজন জমিদার এবং অক্ষয় জন্য এসেছিলেন আহমদ রেজা চৌধুরী দুই কন্যা 2 সূত্রের জনক নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কখনো স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু উনি বাড়ির মধ্যেই শিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষক নিযুক্ত করে তার জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে নেন এবং হাজার নয় পর্দার অন্তরালে পারিবারিক পরিবেশ এই বাংলা ইংরেজি উর্দু ভাষার উৎপত্তি লাভ করেন নবাব খেতাব লাভ এর পূর্বেই যখন উনি প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন তখনই তার পিতার ইন্তিকাল করেন তখন সমস্ত জমিদারি দেখার বার পরে তার মায়ের উপর মা দেখলেন যে ছেলেদের চেয়ে ও অন্যান্য পণ্যের বোনের চেয়েও নবাব ফয়জুন্নেছার বুদ্ধিমত্তা এবং সাংসারিক বিষয়ে জমিদারি চালানো এসব তার অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া গেছে তখন তিনি নৌকারনাচ আগেই জমিদারি দায়িত্ব প্রদান করেন তিনি বাড়ির ভেতরে থেকেই মাঝে মাঝে বোরখা পরেই ঘোড়াগাড়ি করেই বিভিন্ন সমিতির এলাকা পরিদর্শন করতে যেতেন এবং 1800 34 সালের জন্ম উনি আমার আরও একটা পরিচয় সেটি হল উনি নারী শিক্ষার অগ্রদূত কেন হাজার 968 সালে কুমিল্লা শহরে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন আমরা অনেকেই বলে থাকি বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার অগ্রদূত এবং তিনি নারী শিক্ষায় অবদান রেখেছেন তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই কিন্তু তিনি করেছেন কলকাতার মধ্যে একটা আভিজাত্য শহরে একটা উন্নত শহর এই সেই সময়ে এবং আসামি ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং কলকাতা শহরে উনি সেই জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলেছে কিন্তু যদি নারী শিক্ষার অগ্রদূত বলা হয় সেটা বলতে হবে 90 জন নেতাকে কারণ উনি নবাব ফয়জুন্নেসা বেগম রোকেয়ার জন্ম সাত বছর আগে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি লাকসাম পশ্চিমবঙ্গে একটি মাদ্রাসার খুলেন পৃথিবী কেন সৃষ্টি প্রতিষ্ঠা করেন সেই মানুষটাই পরবর্তীতে এই নয়জন নেশা পশ্চিমবঙ্গ কলেজ এবং বর্তমানে সরকারি কলেজ হিসেবে অতিষ্ঠ আছে এবং উনার জমিদারি এলাকায় বহু অঞ্চলে মনি প্রাইমারি স্কুল স্থাপন করেছেন পুকুর খনন করেছেন ফুল ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করেছেন রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন সেই অসাধারণ ব্যাপার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় উনি প্রচুর অর্থ দান করেছেন কুমিল্লা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সৃষ্টির জন্য তার অবদান রয়েছে সেই হিসেবে আমরা নারী শিক্ষার অগ্রগতি বলতে হবে তার অবদান হল উনি একজন সাহিত্যিক ছিলেন হাজার 876 সালে রূপজালাল নামে একটা কাব্যগ্রন্থ বের হয় দুইটাতেই উনার স্বামীকে উৎসর্গ করেছিলেন স্বামী ছিলেন কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানা বাকশালের নওয়াব আলী চৌধুরী মমতা সৌদির সাথে উনার বিয়ে হয় সেই ঘরে দুই সন্তান রয়েছে দুই মহিলার রয়েছে যা কখনোই স্বামীর বাড়িতে আসেননি তিনি রচনা করেছেন হাজার 889 সালে সেই সময় ত্রিপুরার করে ত্রিপুরা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন ইংলিশ ইংলিশ তো শেষে ইংলিশ সাহেব কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছিলেন কুমিল্লা ও তার আশপাশে তখন তুমি সেই সময়ের বিভিন্ন জমিদারদের কাছে বিনীত অর্থ হিসেবে পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হবে হে আবেদন করে কোন জমিদারি তার আবেদনে সাড়া দেননি কিন্তু নওয়াব ফয়জুন্নেসা ইংলিশ উনি একটা কাপড় তোলার মধ্যে সেই সময়ের প্রায় লাখখানেক টাকা ফেরাউন করলাম ওর সাথে একটা চিঠি লিখে দেন যেন প্রয়োজনের প্রয়োজনে চা সাজিদ জিদান করেন সেটা কখনো ফেরত নেন না এসিটি গিয়ে টাকাসহ কাটিয়ে দেন সেই ইংলিশ সাহেবের কাছে কারো থেকে কোন ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি বা তার স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়ে কোনো সদুত্তর পাননি অর্থাৎ কেউই তাকে টাকা দেননি কিন্তু 9901 মত টাকা দিয়েছিলাম একটা চিঠি লিখেছেন চেন অপারেশন করে তিনি দান করলেন না set-5 সেইলর সেইসময়ের ত্রিপুরার অধিপতি বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইংলিশ সাহেব রানী ভিক্টোরিয়া কে সিটিজি এই ঘটনা জানান যে একজন মহিলা আমাকে সাহায্য করেছে এই ব্যাপারে শুনিনি কখনও তিনি লিখেছেন দেখনি কখনো দাম দেন রিটা কাজেই দান করেছি জানি স্বপ্নের নাম রানী মহারানী ভিক্টোরিয়া কে বললেন দেবতাকে একটা উপায় দেখে তখন বলল তাকে ব্যবহারিতা দাও কোন প্রয়োজনে তা কিরকম ব্যবহারিক দেওয়ার জন্য আর করা হল তখন উনি বললেন যা আমার রাজত্বে আমার নওয়াব আমাদের এরিয়াতে এলাকা আমাকে তারা এমনি বেগম বলে ডাকে কাজের প্রয়োজন নেই তিনি কে তা প্রত্যাখ্যান করলেন তাকে নবাব কাতারে কাতার দোহা হুকুম করেন আর যাই করেন তখনই কুমিল্লার বর্তমান দৃশ্য একবারই এসেছিল নয়জনের স্বামীর জমিদারির কাছারি বানিয়েছিল সে বাংলাটা এখনো আছে পরবর্তীতে কোরআন নামে এই বাড়ির নাম হয় কুমিল্লা-সিলেট দাড়ি সেটা আরেক ঘটনা এই কাছারিবাড়িতে 1889 সালে নওগাঁ জন্য সাইকেল জাঁকজমকপূর্ণ অবস্থায় সাজগোজের মাধ্যমে এক বিরাট আয়োজন এর মাধ্যমে এবং গণ্যমান্য দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে তাকে একটি 1 তাকে সেই সময়ে একটি পদক প্রদান করা হয় নবাব হিসেবে তাই খেতাব দেওয়া হয় সেই স্থান কুমিল্লা কোটবাড়ি তার শামিম আহ্মেদ চৌধুরি বাঙ্গবানি অনেকেই জানিনা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী এবং তার উপর একটা বই আমি লিখেছি নারী শিক্ষার অগ্রদূত নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী এপিসোড দান তার প্রজ্ঞা তার বুদ্ধিমত্তা তার শাসন পদ্ধতি তার দান এবং তার শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান সবকিছু জানতে পারবেন